
বাংলাদেশের কাছে সেই জিম্বাবুয়েও এখন আর ‘নিরাপদ’ প্রতিপক্ষ নয়
‘সময় খারাপ যাচ্ছে? তাহলে জিম্বাবুয়েকে ডাক, সহজে জেত, রেকর্ড-টেকর্ড করো।’- ভক্ত সমর্থকদের মধ্যে জিম্বাবুয়ের নাম এলেই এই টিপ্পনীটা খুব জনপ্রিয়। তবে সেই অবস্থাও আর থাকছে না। জিম্বাবুয়েকে ডেকে এনেও যে নিরাপদ থাকতে পারছে না বাংলাদেশ। হেরে উল্টো লেজে গোবরে অবস্থা।
এবার জিম্বাবুয়ে দল যখন বাংলাদেশ সফর করছে, তখন দেশের ক্রিকেট পার করছে তলানির সময়। একের পর এক সিরিজ হার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় বেহাল বাংলাদেশ দল নিয়ে আগ্রহ কম মানুষের মধ্যে। স্পন্সর মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের খেলা তাই দেখানো হচ্ছে বিটিভিতে। বিসিবি আশা করেছিলও দুই টেস্টের সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াটওয়াশ করে বুক ফুলিয়ে সেটা প্রচার করবে। সাফল্যের ছবিতে আড়াল হবে অন্ধকার। কিন্তু
সিলেটে বুধবার প্রথম টেস্টেই জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়ে আয়োজন মাটি করে দিয়েছে। টেস্ট সিরিজ এখন আর হারের কোন সম্ভাবনা নেই। বরং বাংলাদেশেরই আছে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা।
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৯১ রানে। জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রান করে নেয় ৮২ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্লেসিং মুজারাবানির তোপে ২৫৫ রানে আটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যে এক পর্যায়ে সহজেই এগুচ্ছিলো জিম্বাবুয়ে। বিনা উইকেটে ৯৬ থেকে আরও ৭ উইকেট হারালেও হারেনি তারা, জয় পায় ৩ উইকেটে।
জিম্বাবুয়ের এই জয় দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের নাজুক অবস্থা। অথচ টেস্ট দলটির এত বাজে অবস্থা ছিলো না। গত অগাস্টে পাকিস্তানের মাঠে গিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে আসে তারা। এই সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব নেয় নতুন বোর্ড, অন্তবর্তী সরকার সেটাকে বড় করে প্রচার করে। অথচ পাকিস্তান সফরের দল নির্বাচন থেকে প্রস্তুতি সবই হয়েছিলো নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের অধীনে।
গত ৮ মাসে দল নির্বাচনে অদক্ষতা, সাকিব আল হাসানকে রাজনৈতিক কারণে দূরে ঠেলে দেওয়া মিলিয়ে ক্রমাগত বাজে অবস্থায় চলে যায় বিসিবি। ফারুক আহমেদের বোর্ড চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বরখাস্ত করে কোচ করে ফিল সিমন্সকে। তার অধীনে চলছে একের পর এক ব্যর্থতা। এমনকি সিরিজের প্রস্তুতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে জিতলেও আসলে ক্ষত আড়াল করতে পারবে না ফারুক আহমেদের বোর্ড।