
আম্পায়ারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে নিষিদ্ধ হৃদয়
মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী ও মোহামেডানের মধ্যকার একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ঘটে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক শেষ পর্যন্ত গড়ায় শাস্তি পর্যন্ত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করা তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়কে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোর দায়ে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে শাস্তি পান পেসার ইবাদত হোসেনও।
আবাহনীর ব্যাটিংয়ের সময় অষ্টম ওভারে ইবাদতের বলে মিঠুন ব্যাট ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে ইবাদত জোরালো আবেদন করেন। কিন্তু আম্পায়ার তানভীর আহমেদ আবেদনে সাড়া না দিলে, ইবাদত মেজাজ হারিয়ে হাতে থাকা সোয়েট ব্যান্ড খুলে মাটিতে ছুড়ে মারেন। এমন পরিস্থিতিতে লেগ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে, তখনই হৃদয় আঙুল উঁচিয়ে শরফুদ্দৌলার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম এসে হৃদয়কে শান্ত করে সরিয়ে নেন। আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও হৃদয়কে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এরপর টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ইবাদতের বলটির ইম্পেক্ট অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল। অর্থাৎ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই ঠিক ছিলো।
ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল জানান, আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ইবাদতকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। আর হৃদয়কে ৫০ হাজার টাকা
জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোহামেডান ক্লাব ও ক্রিকেটারদের অনুরোধে জরিমানার টাকা মওকুফ করা হলেও, হৃদয়ের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে। তাই, সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে হৃদয়কে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান।
এদিন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আবাহনীকে ৩৯ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। ২০১৬ সালের পর আবাহনীকে হারাতে পারল তারা। সুপার লিগের আগে আবাহনী ও মোহামেডান দুই দলেরই পয়েন্ট ১৮। অর্থাৎ লিগ শিরোপার দৌড় বেশ জমে উঠেছে।