
‘জমি দখল-জুলুম করে ভোট চাইবেন কোন মুখে’, এনসিপির উদ্দেশে নূর
মানুষকে অত্যাচার করে, জমি দখল করে কোন মুখে ভোট চাইতে যাবেন- এই প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর।
শনিবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিজয়চত্বর সংলগ্ন এক পথসভায় তিনি বলেন, “মানুষের জমি দখল করে, জুলুম করে আবার সেই মানুষের কাছেই ভোট চাইতে যাবেন কোন মুখে? যারা জনপ্রতিনিধি হতে চান, তাদের এসব অপকর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে।”
কোনো দলের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও নূর তার বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে উদ্দেশ করে কথা বলেছেন বলে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মনে করেন। এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বাড়ি পঞ্চগড়ে।
নূর বলেন, “চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের চেহারা বদলালেও তাদের অপকর্ম থামেনি। ব্যক্তিরা বদলেছে, খাওয়া-দাওয়ার পার্টি বদলেছে, কিন্তু দুর্বৃত্তরা বদলায়নি। দখল-চাঁদাবাজির অপসংস্কৃতি বন্ধ না হলে মানুষ আমাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করবে।”
তিনি বলেন, “অনেক তরুণ, বিশেষ করে ছাত্রনেতা সারজিসসহ আরও অনেকে আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও অনেকে সেভাবে পরিচিত পাননি, তাদের অবদান কম নয়।”
গণঅধিকার পরিষদের জন্মের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “যখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো চুপ ছিল, তখন কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ডাকসু নির্বাচন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ আওয়াজ তুলেছে।”
জুলাই-অগাস্টে নিহত পরিবারগুলোর প্রতি সরকারের অবহেলার অভিযোগ তুলে নূর বলেন, “শহীদদের পরিবার আজও ক্ষতিপূরণের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আমরা চাই, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে এককালীন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।”
সভায় নূর বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের লড়াই শেষ হয়নি। আমরা চাই, পঞ্চগড়সহ সারাদেশে শান্তি ফিরুক, মানুষের জীবনমান উন্নত হোক। সেই লক্ষ্যে আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।”
পথসভায় দেবীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আফতাব আলম ভুঁইয়া সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ইসরাফিল আলম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মাসুদ ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম ইমু প্রমুখ।