Friday 31 January, 2025

খুলনার সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 22:30, 30 January 2025

খুলনার সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

খুলনার সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি), ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় তাকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

এছাড়া জ্ঞাত আয়বর্হিভূত ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। মিজানুর রহমান মিজান জামিনে ছিলেন। তবে ২৩ জানুয়ারি আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন রায় ঘোষণার আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “আসামির দাবি, শেখ পরিবারের রোষাণলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এ মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাত্র এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব।”

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।