Sunday 27 April, 2025

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২০ জেলা অন্ধকারে 

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 22:03, 26 April 2025

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২০ জেলা অন্ধকারে 

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ জেলা অন্ধকারে 

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ার কারণে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) আওতাধীন দক্ষিণাঞ্চলের ২০  জেলার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

ওজোপাডিকো সূত্রে জানা যায়, জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ১৫ জেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে, সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিপর্যয়ের কারণে খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ ১৫ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা দক্ষিণাঞ্চল। অনেক স্থানে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। আবার কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ এসেছে।

খুলনায় ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, “নগরীর ময়লাপোতার মোড়ে বিকেল থেকে আছি। সাড়ে ৫টার পর এখানে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে একবার বিদ্যুৎ আসে। পরে আবার ৮টা ১৬ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না।”

খুলনার রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বিকেলে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে।”

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শাহাজাৎপুরের শুভ বিশ্বাস বলেন, “আজ বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নেই। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।”

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওজোপাডিকোর সদর দপ্তরের নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “আজ বিকেল ৫টা ৫০মিনিটে ঢাকার আমিন বাজার থেকে গোপালগঞ্জের মধ্যবর্তী কোনো একটি স্থানে ৪০০ কেভি লাইনের ত্রুটি দেখা দেয়। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরসহ ১৫ জেলায় বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে খুলনা, বরিশালের অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।”