
৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন চলতি জুলাই-মার্চে
৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়িত হয়েছে চলতি বছরের জুলাই-মার্চ মাসে। এই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার মাত্র ৩৬.৬৫ শতাংশ; যা আগের পাঁচ অর্থবছরের একই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন হার। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের মধ্যে অস্থিরতা ও নানা জটিলতার কারণে এই হার কমছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
শুধু এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়েই নেই সরকার নির্ধারিত প্রকল্পে টাকা খরচের দিক দিয়েও পিছিয়ে আছে এডিপি।
জানা গেছে, গতবার একই সময়ের (জুলাই-মার্চ) চেয়ে এবার ২৪ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। এবার জুলাই-মার্চ সময়ে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গতবার একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।
১৭ই এপ্রিল, বৃহস্পতিবার চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ চিত্র বিশ্লেষণে এটা জানা গেছে। আজ এটি প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, অনির্বাচিত সরকারের কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। পরে এডিপি কাটছাঁট করে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা করেছিল ইউনূস সরকার। তারপরও কাঙ্খিত এডিপি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে, এডিপিতে সব মিলিয়ে ১৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ আছে। এই অর্থবছরের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও তারা বরাদ্দের ২৫ শতাংশও খরচ করতে পারেনি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ; প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়; স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ; জননিরাপত্তা বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিভাগ; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয়; নির্বাচন কমিশন সচিবালয়; পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন তারা কেউ ২৫ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতে নানা কৌশল ও ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে দুর্নীতি দমন বিভাগকেও ব্যবহার করছে। কেবল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই এই কমিশনকে কাজে লাগাচ্ছে। এতে অন্যান্য দুর্নীতিবাজরা রেহাই পাচ্ছে।
এবার চলতি অর্থবছরে দুর্নীতি দমন কমিশনের দুটি প্রকল্পে ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু ৯ মাসে এক টাকাও খরচ হয়নি। দুনীতি দমন কমিশনের এডিপি বাস্তবায়নের হার শূন্য। এটা সরকারের শীথিলতার কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।