Saturday 19 April, 2025

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বাতিলের সুপারিশ ট্রাম্পের

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 19:55, 16 April 2025

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বাতিলের সুপারিশ ট্রাম্পের

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বাতিলের সুপারিশ ট্রাম্পের

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য অর্থায়ন বাতিলের প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মালি, লেবানন এবং কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিচালিত কার্যক্রমগুলোর ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে এমন প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। জাতিসংঘের ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের মূল পরিচালনা বাজেটের ২২ শতাংশ এবং ৫.৬ বিলিয়ন ডলারের শান্তিরক্ষা বাজেটের ২৭ শতাংশ প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘের প্রত্যেক সদস্যকে সংস্থার বাজেটে অবদান রাখতে হয়। এই অর্থ প্রদান বাধ্যতামূলক। ১৯৪৫ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তিরক্ষা খরচ হ্রাসের বিষয়টি ‘পাসব্যাক’ নামক একটি নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এটি আগামী অর্থবছরের জন্য (যা ১ অক্টোবর থেকে শুরু) স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নের অনুরোধের প্রতি বাজেট অফিসের প্রতিক্রিয়া। এই পরিকল্পনার আওতায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামগ্রিক বাজেট প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন বাজেটটি কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন এবং আইন প্রণেতারা প্রশাসনের প্রস্তাবিত কিছু বা সমস্ত অর্থ পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও কূটনীতি ও সহায়তা বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস ট্রাম্পের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে। শুধু শান্তিরক্ষা মিশনই নয়, খোদ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, বিভিন্ন বিদেশি মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এবং ন্যাটোর জন্যও তহবিল ৫০ শতাংশ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে ওএমবির ‘পাসব্যাক’ নামক এই খসড়া প্রস্তাবনায়।

একটি নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জন্য ২০২৬ অর্থবছরে বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮.৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে চলতি বছর এর বাজেট বরাদ্দ করা হয় ৫৪.৪ বিলিয়ন।