Wednesday 02 April, 2025

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির আশাবাদ

সিডনি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 21:55, 30 March 2023

আপডেট: 22:01, 30 March 2023

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির আশাবাদ

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির আশাবাদ

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরো ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ জানান হাইকমিশনার। এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। আল্লামা সিদ্দিকী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদার সংস্কৃতির বিষয় উল্লেখ করেন।

অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বাওয়েন, সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সংসদীয় দলের চেয়ার ম্যাট বারনেল এবং সদস্য অ্যান্ড্রু চার্লটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্রও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির আশাবাদ

অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের উর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতাদের সফর ও যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কেককাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত দু’টি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এসময় হাইকমিশন পরিবারের শিশু-কিশোরীদের একটি দলীয় নৃত্যসহ দুটি নৃত্য পরিবেশন করা হয়।