বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪

ফ্রান্সে স্থায়ী শহিদ মিনার উদ্বোধন

প্রকাশিত: ২০:০৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৮:৩১, ১২ নভেম্বর ২০২২

ফ্রান্সে স্থায়ী শহিদ মিনার উদ্বোধন

মো. সালাহ্ উদ্দিন, প্যারিস: ফ্রান্সের গোলাপি শহর খ্যাত তুলুজে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্থায়ী শহিদ মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে। করোনা মহামারিকালীন বিধিনিষেধের মধ্যে সীমিত আকারে বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্স; আয়েবা, ডব্লিউবিওসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহিদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্সের উদ্যোগে তুলুজের মাননীয় মেয়র জন লুক মুডেনক এবং সিটি কাউন্সিলের সহযোগিতা ও অংশিদারিত্বে নির্মিত হয়েছে বহু কাঙ্ক্ষিত এই ভাষাশহিদ স্মৃতিস্তম্ভ। ওই দিন সকাল ১০টায় তুলুজের Parc Claifront, Bellefontaine-এ শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন তুলুজের মাননীয় মেয়র জন লুক মুডেনক এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন তুলুজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফকরুল আকম সেলিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অ্যাফেয়ার্স পলিটিকস মিনিস্টার এস এম মাহবুবুল আলম, অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (আয়েবা) মহাসচিব এবং ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউবিও) প্রেসিডেন্ট কাজী এনায়েত উল্লাহ, ডব্লিউবিওর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিরেক্টর জানা মার্টিন, তুলুজের ডেপুটি মেয়র ক্রিস্টোফ আলভেস ও জন ক্লোড ডারডেলেট, শহিদ মিনারের ডিজাইন প্রকোশলী বার্নার্ড ভ্যালেনটিন, ফ্রান্জ স্নাইডার প্রমুখ। শহিদ মিনার উদ্বোধনের সময় কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, “১৯৫২ সালে মহান ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা শুধু আমাদের বাংলা ভাষার অধিকারই ফিরে পাইনি, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও পতাকাও পেয়েছি। ফ্রান্সে স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপনের মাধ্যমে আমাাদের বাংলা ভাষার ঐতিহ্য ও মর্যাদা ফরাসিরা যেমন জানতে পারবেন, একইভাবে এ দেশে বেড়ে ওঠা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও শ্রদ্ধার সাথে লালন করবে মাতৃভাষার মহিমা।” উদ্বোধনী বক্তব্যে ফকরুল আকম সেলিম বলেন, “তুলুজ শহরে স্থায়ী শহিদ মিনার স্থাপনে ফ্রান্স সরকার তথা তুলুজের মাননীয় মেয়র জন লুক মুডেনকের প্রতি জানাচ্ছি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতির মূলধারার সাথে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যোগসূত্র স্থাপনের প্রয়াসে এখানে শহিদ মিনার নির্মাণে যাঁরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এই সম্মান আর গৌরবের অংশীদার তাঁরা সবাই। এর মাধ্যমে প্রবাসে বাংলা ভাষার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমার বিশ্বাস।”