Sunday 20 April, 2025

‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ বেড়েছে’

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 20:00, 16 April 2025

‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ বেড়েছে’

‘ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ বেড়েছে’

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারের চীন-পাকিস্তান ঘেঁষা নীতির কারণে ভারতের সাথে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেশটি। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ বেড়েছে বলে মন্তব্য করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।

১৬ই এপ্রিল, বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চড়া শুল্ক আরোপের চ্যালেঞ্জ ও সরকারের করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

২০২০ সালের ২৯শে জুন বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে সংগঠিত চুক্তি অনুযায়ী ট্রান্সশিপমেন্ট প্রক্রিয়ায় ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় কোনও দেশে পাঠানো যাবে। এরপর থেকে ভারতীয় ভূখন্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করে। ৩৬টি দেশে এভাবে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করত।

বাংলাদেশের তুলনায় ভারত থেকে খরচ কম হওয়ায় এবং সবদেশে বিমানে পণ্য পাঠানোর সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সুবিধা পাচ্ছিলেন। যার বারবার বিরোধীতা করে আসছিলো ভারতের রপ্তানি শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা, কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের সাথে সুসম্পর্কের কারণে নিজদেশের ব্যবসায়ীদের কথা আমলে না নিয়ে বাংলাদেশকে সুবিধা দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত সরকার।

কিন্তু ড. ইউনূসের বেশ কিছু বক্তব্যে ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরার পরে ভারত সরকার এ সুবিধা বাতিল করে। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন স্বীকার করলেন ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বাংলাদেশের খরচ বেড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এটি কমিয়ে আনতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ভারত, পাকিস্তান বা চীন কোনো দেশ আলাদা করে নয়, সব দেশের সঙ্গেই সরকার বাণিজ্য বাড়াতে চায়।