Sunday 20 April, 2025

প্রকাশ্য ট্রাম্পকে কটাক্ষ করলেন জো বাইডেন

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 15:10, 16 April 2025

প্রকাশ্য ট্রাম্পকে কটাক্ষ করলেন জো বাইডেন

প্রকাশ্য ট্রাম্পকে কটাক্ষ করলেন জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজেট কাটছাঁট করে প্রশাসনিক রূপান্তর প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করেছেন। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর শিকাগোতে প্রথম জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। বক্তব্যে ট্রাম্পের সামাজিক সুরক্ষা নীতির সমালোচনা করেন বাইডেন।

বাইডেন ট্রাম্পের এই ‘কুঠার চালানো’ উদ্যোগ আমেরিকানদের অবসরকালীন ভাতা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে উল্লেখ করেন।

বাইডেন শিকাগোয় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে বলেন, ‘১০০ দিনেরও কম সময়ে এই নতুন প্রশাসন অকল্পনীয় ক্ষতি করেছে। সামাজিক সুরক্ষা ধ্বংস করেছে—অবিশ্বাস্য মনে হয় এটা এত তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে।’ ৮২ বছর বয়সী এই ডেমোক্র্যাট বলেন, ‘তারা সামাজিক সুরক্ষা প্রশাসনে কুঠার চালিয়েছে। ৭ হাজার কর্মীকে বের করে দিয়েছে।

এটি যুক্তরাষ্ট্রে অবসর ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানকারী প্রধান সংস্থা।’ নীল স্যুট ও টাই পরা বাইডেন প্রায় আধাঘণ্টা বক্তৃতা দেন। এ সময় তার বার্ধক্যের কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে—টেলিপ্রম্পটার থেকে পাঠ করার সময় কিছু বাক্যে হোঁচট খান তিনি, নিজের বলা দীর্ঘ অনানুষ্ঠানিক গল্প মাঝপথেই থামিয়ে দেন তার প্রিয় বাক্য ‘যাই হোক’ দিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিক মানুষ সরকারের সামাজিক সুরক্ষার উপর নির্ভরশীল।

ট্রাম্পের নতুন শাসনকালে, বিশেষ করে ইলন মাস্কের পরামর্শে দেশে ব্যাপক হারে ব্যয় সংকোচনের নীতি নিয়েছে সরকার। ফলে, অনেকেরই আশঙ্কা, এই ক্ষেত্রে ব্যয় কমালে বিপদে পড়বেন সাধারণ মানুষ। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে বাইডেনের একটি জড়ানো গল্প দেখানো হয়। এতে কোনো মন্তব্য ছিল না।


বাইডেন বলেন, ট্রাম্প ও তার ধনকুবের সহযোগী ইলন মাস্কের উদ্যোগে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’র আওতায় কর্মী হ্রাস ঘটেছে, যার ফলে ওয়েবসাইট ভেঙে পড়ছে এবং অবসরপ্রাপ্তরা তাদের ভাতা পাচ্ছেন না। এই কর্মসূচির ওপর বর্তমানে ৬৫ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকান নির্ভর করেন। ওয়াশিংটনে একে বলা হয় ‘পলিটিকসের তৃতীয় রেল’, কারণ এটি ভোটারদের কাছে অত্যন্ত সংবেদনশীল।

তিনি আরো বলেন, ‘অনেক আমেরিকান খাবার কেনার জন্য ও বেঁচে থাকার জন্য এই ভাতার ওপর নির্ভর করেন। এটাই তাদের একমাত্র আয়। এটি কমিয়ে দিলে বা তুলে নিলে তা লাখ লাখ মানুষের জন্য বিপর্যয়কর হবে।