Tuesday 29 April, 2025

দ্বন্দ্বের নিরসন: আইনি নোটিশদাতাদের সন্তুষ্ট করলেন তাসনিম জারা

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 22:35, 27 April 2025

দ্বন্দ্বের নিরসন: আইনি নোটিশদাতাদের সন্তুষ্ট করলেন তাসনিম জারা

দ্বন্দ্বের নিরসন: আইনি নোটিশদাতাদের সন্তুষ্ট করলেন তাসনিম জারা

লিঙ্গ মোটাতাজা কর ও যৌন সঙ্গমের সময়সীমা বর্ধিত করার উপায়, যৌনশক্তি বৃদ্ধির খাদ্য-ঔষধ, স্বপ্নদোষসহ যৌন বিষয়ে প্রচার প্রচারণার নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারাকে পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

২৭শে এপ্রিল, রোববার নোটিশদাতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির স্বাস্থ্য নীতি ও অ্যাডভোকেসি সেলের সম্পাদক তাসনিম জারার বক্তব্য তাকে সন্তুষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে, গত ২৪শে এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী সরকারকে একটি নোটিশ পাঠান। নোটিশে ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

এদিন নোটিশে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে সব ওয়েবসাইট, লিংক, গেটওয়ে অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়ছিল।

নোটিশ প্রত্যাহারের বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব সংবাদমাধ্যম বলেন, “তাসনিম জারা আমার মক্কেলগণ কর্তৃক পূর্বে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। আমার মক্কেলগণ প্রকাশিত বক্তব্যটি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করেছেন। তাসনিম জারা তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, তার ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করে ফেক ফেসবুক আইডি এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলে অনেকেই প্রতারণা করছে। যেগুলো তার নিজের ফেসবুক আইডি বা ইউটিউব চ্যানেল নয়। তাসনিম জারার বক্তব্যে নোটিশ প্রেরকগণ সন্তুষ্ট হওয়ায় নোটিশে রেফারেন্স হিসেবে উল্লিখিত তাসনিম জারার নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নামও নোটিশে উল্লেখ থাকায় নোটিশ প্রেরকগণ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে নোটিশটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, এর আগে, গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র (বৈছা) আন্দোলনের নেত্রী তাসনিম জারা ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, তিনি কখনোই গুপ্ত সংগঠন জামায়াত-শিবির বা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না। সেই সাথে যৌনরোগের ওষুধ, লিঙ্গ মোটাতাজা করা- ধরনের কোনো পণ্য বিক্রয়ের সাথেও জড়িত নন।

তিনি আরো বলেন, “পাইলস, যৌনরোগ, মোটা বা চিকন হওয়া সংক্রান্ত কোনো প্রোডাক্ট আমি অনলাইনে বিক্রি করি না। আমার ছবি ব্যবহার করে মানুষজনের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।”

অথচ যেসব পেজ থেকে এসব পণ্য বিক্রয় ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, সেসব ভেরিফায়েড পেজ চলছে তারই ছবি এবং পরিচিতি ব্যবহার করে। কয়েক বছর ধরে এসব পেজ বিপুল সংখ্যক ফলোয়ারের মাঝে জনপ্রিয়। জারার ছবি ব্যবহার করেই প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব পেজের বিরুদ্ধে তিনি কোনো আইনি ব্যবস্থা কেন নেননি- এমন প্রশ্নের জবাব দেননি।